পাঠক সংকটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি
প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০১৮
শিক্ষার্থীদের আগ্রহ হারাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি। অব্যবস্থাপনা, বাধ্যবাধকতা আর নিত্য নতুন নিয়মকানুন এর জন্য দায়ী বলছেন শিক্ষার্থীরা। ফলে পাঠক শূণ্য হচ্ছে লাইব্রেরিটি।
সম্প্রতি দেখা যায়, ২৮০ জন পাঠক ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন লাইব্রেরিতে দেখা মেলেনি অর্ধডজন পাঠক।
শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা এই প্রতিবেদকের কাছে তুলে ধরেন নানামুখী সংকটের কথা।
নতুন ভবনের ৬ষ্ঠ তলায় একটি অংশে অবস্থিত লাইব্রেরিটি সপ্তাহে ৫ দিন ররিবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮ থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে। বিকেল ৪টায় ক্যাম্পাস ছুটির সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায় শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের একমাত্র লিফট। ফলে ৬ তলায় সিঁড়ি বেয়ে ওঠা হয়ে পড়ে দূরুহ। লাইব্রেরিতে পাঠক সংকটের কারণ হিসেবে জানা যায়, সেখানে সিলেবাস অনুযায়ী বই পাওয়া যায় না। কিছু পাওয়া গেলেও নেই সর্বশেষ সংস্করণ। ছেঁড়া ও পুরাতন হওয়ায় অনেক বই-ই পড়ার অযোগ্য। কোনও বইয়ের বিশেষ অংশ প্রয়োজন হলেও নেই ফটোকপি করার ব্যবস্থা।
লাইব্রেরিতে বই সংগ্রহের জন্য প্রবেশমুখেই রয়েছে ক্যাটালগ ব্যবস্থা। পুরাতন এ ব্যবস্থায় প্রতিটি ক্যাটালগে আছে ১০০ এর কাছাকাছি টোকেন, যেখান থেকে বই খুঁজে পাওয়া কষ্টকর। টোকেন থাকলেও অধিকাংশ সময় পাওয়া যায় না সংশ্লিষ্ট বই। আবার সব টোকেন নেই। টোকেনগুলোও অগোছালো পড়ে আছে। লাইব্রেরি কার্ডে নেওয়া যায় একটিমাত্র বই। লাইব্রেরি কার্ড করার সুযোগ সপ্তাহের মঙ্গলবার ১০-১১টা। ফলে সিংহভাগ শিক্ষার্থীর নেই লাইব্রেরি কার্ড।
আলো-বাতাস প্রবেশের জন্য নেই পর্যাপ্ত জানালা। কর্মকর্তাদের রুমে এসি থাকলেও রিডিং রুমে শিক্ষার্থীদের ভরসা বৈদ্যুতিক পাখা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, লাইব্রেরিতে নেই খাবার পানির ব্যবস্থা, মেয়েদের নামাজের জায়গা। শিক্ষার্থীরা সাধারণত কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের টয়লেট ব্যবহার করলেও ক্যাম্পাস ছুটির পর সেটা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সামান্য বিষয়েও তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন লাইব্রেরিতে কর্মরত কর্মচারীরা।
ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়কে যেখানে মুক্তবুদ্ধিচর্চার তীর্থ কেন্দ্র বলা হয়, সেখানে জবির লাইব্রেরিতে নেই অ্যাকাডেমিক বইয়ের বাইরে সাহিত্য-শিল্পচর্চার সুযোগ। বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জ্ঞানচর্চা ও গবেষণারক্ষেত্র বৃদ্ধির লক্ষ্যে লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা হলেও বেহাল দশা জবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির।’
লাইব্রেরিতে পড়তে আসা গণিত বিভাগের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আফ্রিদা হৃদ বলেন, ‘লাইব্রেরিতে বর্তমানে বই নিতে দেওয়া হয় না। আবার লাইব্রেরিতে প্রয়োজনীয় বইটিও খুঁজে পাওয়া যায় না।’
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফসানা বলেন, ‘প্রথম কয়েকদিন এসেছিলাম পড়তে কিন্তু বাইরের বই আনতে না দেওয়া, কার্ড ছাড়া প্রবেশ করতে না দেওয়াসহ নানা নিয়মকানুনের বেড়াজালে আগ্রহ হারিয়েছি।’
পাঠক সংকটের বিষয়ে জানতে চাইলে লাইব্রেরিয়ান এনামুল হক বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের উপযোগী করতে আমরা লাইব্রেরির উন্নয়ন অব্যাহত রেখেছি। বারবার বই ক্রয়ের চেষ্টা করা হলেও টেন্ডার ড্রপ হয়। ফলে ডিপার্টমেন্টগুলোকে টাকা দেয়া হয় কিন্তু তারা বেশিরভাগ বই সেমিনারের জন্য রেখে দেয়। বই সহজে পাওয়ার জন্য আমরা ক্যাটালগ বাদ দিয়ে সফটওয়্যার সিস্টেমে যাওয়ার চেষ্টা করছি।’
লাইব্রেরির সার্বিক বিষয় জানতে চাইলে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘বর্তমান লাইব্রেরিটি বিশ্ববিদ্যালয় উপযোগী নয়। আমরা বর্তমান লাইব্রেরিটিকে ই-লাইব্রেরিতে পরিণত করবো। এ লক্ষ্যে ৪০টি কম্পিউটার অর্ডার করা হয়েছে। বিশ্বমানের লাইব্রেরি করতে আলাদা ভবন, পরিকল্পিত রিডিং রুম, রেফারেন্স রুম, পর্যাপ্ত বইয়ের দরকার। কিন্তু এখানে পরিসর বাড়ানোর সুযোগ নেই। নতুন ক্যাম্পাসে লাইব্রেরির জন্য আলাদা ভবন করা হবে। সেই সঙ্গে ৪-৫ হাজার শিক্ষার্থী একসঙ্গে পড়তে পারে সে ব্যবস্থা করা হবে।
– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –- এক সপ্তাহ পরে বাজারে আসবে দিনাজপুরের লিচু
- স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে টানা ৫০ বছর ধরে রোজা রাখা সেই দিনমজুরের
- মধ্যরাতে পুড়ল ১১ দোকান, যেভাবে লাগে আগুন
- খড়ি শুকাতে গিয়ে প্রাণ গেল গৃহবধূর
- গোসল করে জুমার নামাজ পড়া হলো না মুরাদের
- শিরোপা জেতানোর দুদিন পরই বরখাস্ত হলেন কোচ
- একসঙ্গে ১০ জনকে চুমু, তিক্ত অভিজ্ঞতা জানালেন অ্যান হ্যাথাওয়ে
- জুমার নামাজের আগে দুই খুতবা দেওয়া হয় যেসব কারণে
- বেরোবিতে মাদক সেবনরত অবস্থায় ৪ শিক্ষার্থী আটক
- ৬ জুন বাজেট দেবো, বাস্তবায়নও করবো: প্রধানমন্ত্রী
- সৌদি পৌঁছেছেন ২৪ হাজার হজযাত্রী
- জনগণকে আরো বেশি সেবা দিতে চায় পুলিশ: আইজিপি
- জার্মানিতে বাংলাদেশিদের জন্য দারুণ সুযোগ
- ‘সন্ত্রাস করলেই গ্রেফতার’
- সম্মিলিত চেষ্টায় আত্মহত্যা নিরসন করা সম্ভব: প্রতিমন্ত্রী সিমিন
- গাজায় দীর্ঘমেয়াদে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হামাস
- রাজশাহীর আম দেখতে আসবে চীনের প্রতিনিধিদল: কৃষিমন্ত্রী
- ঋণখেলাপি বিএনপির সময় বেশি ছিল: আইনমন্ত্রী
- ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আ’লীগ দেশকে এগিয়ে নেবে: প্রধানমন্ত্রী
- বিরলে অগ্নিকাণ্ডে বৃদ্ধ আহত, তিনটি গবাদিপশুর মৃত্যু
- হিলিতে প্রথমবার কিনোয়া ও চিয়া সিড চাষাবাদ
- কাহারোলে বোরো সংগ্রহের উদ্বোধন
- হাকিমপুরে খেলার সময় ডোবায় ডুবে শিশুর মৃত্যু
- তালের শাঁসের যত স্বাস্থ্য উপকারিতা
- অবসরের ঘোষণা দিলেন সুনীল ছেত্রি
- সিনিয়র না হলে জয়কে থাপড়াতাম: মিষ্টি জান্নাত
- কোরআন-হাদিসে মায়ের অধিকার
- আইসিটি খাতে ২০২৬ সালের মধ্যে নারীর অংশগ্রহণ হবে ২৫ শতাংশ
- কৃষি নিয়ে কৃষকদের তেমন কোনো অভিযোগ নেই: কৃষিমন্ত্রী
- ‘সরকার-নাগরিক পার্টনারশিপ হলে নগরের সমস্যা দূর হবে’
- জনগণের কথা চিন্তা করে আইন তৈরি করতে হবে: আইনমন্ত্রী
- নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য ১২ হাজার ৬০০ ফ্ল্যাট নির্মাণ করবে সরকার
- ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র’
- ওজন কমাতে চাইলে যে ৪ ফল খাবেন
- দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে শিক্ষক-কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট
- হাবিপ্রবিতে কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন
- রাণীশংকৈলে ভুট্টাক্ষেত থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- বীরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন চালুর তারিখ জানালেন রেলমন্ত্রী
- বীরগঞ্জে হবিবর রহমান স্মৃতি রোগ প্রতিরোধ গবেষণা কেন্দ্র উদ্বোধন
- ইস্তিসকার নামাজের সময় ও বিধি-বিধান
- দিনাজপুরে হলিল্যান্ড কলেজে ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
- পঞ্চগড়ের তিন উপজেলায় জামানত হারাচ্ছেন ১৩ প্রার্থী
- হজের জন্য মাহরাম না পেলে নারীদের করণীয় কী?
- দিনাজপুর জেলা ছাত্রলীগের ৫০০ বৃক্ষের চারা বিতরণ-রোপণ
- ট্রান্সফরমার চোর চক্রের পাঁচ সদস্য গ্রেফতার
- জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান
- বিশ্বকাপের টিকিট পেতে পারেন যে ১৫ ক্রিকেটার
- দিনাজপুরে অনাবৃষ্টি আর দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে লিচুর মুকুল
- বিরলে অগ্নিকাণ্ডে বৃদ্ধ আহত, তিনটি গবাদিপশুর মৃত্যু